পাম তেলের সিংহভাগ আরবিডি (পরিশোধিত, হালকা ও গন্ধযুক্ত) আকারে আমদানি হয়। সয়াবিন আমদানি হয় অপরিশোধিত আকারে। দুটোই দেশীয় কারখানাগুলোতে পরিশোধন করা হয়। এ ছাড়া আমদানি করা সয়াবিন বীজ ভেঙে তেল উৎপাদন করা হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সয়াবিন বীজ আমদানিও শতকোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সয়াবিন বীজ থেকে বছরে তিন লাখ টনের কম-বেশি সয়াবিন উৎপাদন হয়।
দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯৫ শতাংশই আমদানিনির্ভর। সরাসরি আমদানি ও বীজ আমদানি করে এ চাহিদা পূরণ করা হয়। এ ছাড়া দেশে শর্ষেবীজ থেকে শর্ষে তেল উৎপাদিত হয়। তবে চাহিদার তুলনায় শর্ষেবীজের উৎপাদন কম। সে জন্য প্রতিবছর শর্ষের বীজও আমদানি করতে হয়।
ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় গত বছর থেকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায় বিশ্বাবাজারে। মার্চের শেষ এবং এপ্রিলের শুরুতে দাম কমে যুদ্ধের প্রায় আগের অবস্থার কাছাকাছি ফিরেও আসে। তবে এই ধারা বেশি দিন থাকেনি। এপ্রিলের শেষে বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিশ্ববাজারে পাম ও সয়াবিনের দামের আগের সব রেকর্ড ভেঙে যায়।
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ মে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়, ৭ মে থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পরিশোধন ও উৎপাদন শেষে গড়ে প্রতি মাসে ৮৬ হাজার টন সয়াবিন তেল বাজারজাত করেছে কোম্পানিগুলো।এ ছাড়া পাম তেল বাজারজাত করেছে গড়ে মাসে এক লাখ টন করে।
