কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি /
টেকনাফে প্রভাবশালী মহল অবৈধ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অসহায় দরিদ্র মুরশিদা বেগমের বসত বাড়ি ভেঙে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকার স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া ইউনিয়নের শামলা পুর নয়াপাড়ায়। বাড়ি ও জমির প্রকৃত মালিক একই এলাকার মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী মুরশিদা বেগম গতকাল ২২-৯-২২ ইংরেজি তারিখে টেকনাফ মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ,সে দীর্ঘ ৩০-৪০ বছর নয়াপাড়া এলাকায় স্বামীর মালিকানাধীন জমিতে বসত বাড়ি নির্মাণ করে সুখে বসবাস করে আসছিলেন। কেহ কোন দিন বসত বাড়ি এমন জমি নিয়ে কোন ধরনের জগড়া বিবাদ করেনি। গত ১৯-২০ তারিখে অভিযোগ পত্রে দেওয়া একই এলাকার মৌলভী ছৈয়দ করিমের পুত্র কায়সার, নজির আহমদের পুত্রদ্বয় হাফেজ আহমদ, জাফর আহমদ, প্রাক্তন মেম্বার ছৈয়দুর পুত্র শাহ্ আলম উক্ত বসত ভিটায় জমি পাবে মর্মে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন। এতে মুরশিদা বেগম একই ঘটনা নিয়ে গত ১৯-৯-২০২২ইংরেজি তারিখে টেকনাফ বাহার ছড়া তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ী অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ টেকনাফ উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলে বিবাদী গংয়ের গং লিডার মোহাম্মদ শাহ আলম প্রান নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
এর পরেও উক্ত বিবাদী গণ একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ২৩-৯-২২ ইংরেজি তারিখে দুপুরে দা- কিরিছ ও অবৈধ অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুরশিদা বেগমের বসত বাড়ির চতুর দিকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ী ও টেকনাফ মডেল থানায় অবহিত করা হলে তারা ঐ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
বাদী মুরশিদা বেগম জানান, আমাকে এই সন্ত্রাসী গ্ৰুপ যে কোন মুহুর্তে আমিও আমার পরিবারের লোকজনদের কে প্রান নাশ করতে পারে।
আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় প্রসাশন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করছি। এ দিকে টেকনাফ উপজেলা শাখার বিএমএসএফ এর প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা যে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে এতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, বিএমএসএফ টেকনাফ উপজেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দরা। এ বিষয়ে বিবাদী শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, মুরশিদা বেগম এর নিজ বসতভিটার বাহিরে যে জমি টুকু আছে উক্ত জমি গুলো একশ হতে এক শত পঞ্চাশ বছর আমাদের দখলে ছিলো, এই বিধবা মহিলা মুরশিদা বেগম বহিরাগত গুন্ডা বাহিনী এনে দখল করে নিয়েছে।
