নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। মুসলমানদের বছরে দুটি ঈদ। তারমধ্যে ঈদুল ফিতর একটি। এই ঈদকে ঘিরে চলছে মুসলমানদের ঘরে ঘরে নানান রকমারি খাবারের আয়োজন।রকমারি খাবারের আয়োজনের উপকরণ হলোঃ সিমাই, চিনি, আটা, ময়দা, সুজি, নারিকেল, বিভিন্ন রংয়ের বাহারি পাঁপর, আর এই পাঁপর ভাজা হয় তেল দিয়ে। সেই তেলের দাম নিয়ে সাধারণ জনগণ নাগালের বাইরে প্রায়। তেলের দাম নিয়ে এক ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, তেলের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা প্রমাণিত হয়। ছাতড়া বাজারে ১লিটার রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৬০টাকা থাকলেও দোকানদারেরা বিক্রি করছে ২০০-২২০ টাকায়। ২ লিটার তেলের বোতলের দাম ৩১৮ হলেও নেওয়া হচ্ছে ৪০০টাকা এবং ৫লিটার বোতলের দাম ৭৮০টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি করতে শুনা গেছে।
গোরাই গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, আসলেই বেশি। আমি রেগুলার কাস্টমার বলে নিয়ামতপুরে ১ লিটারে ২০০ শর বদলে ১৯০ টাকা নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদির দোকানদার বলেন, আমার কাছে থেকে ৫লিটার তেল ৯০০ টাকায় নিয়ে গিয়ে ৯৫০-১০০০ টাকায় বিক্রি করছে। আর আমি ৯০০টাকা নিচ্ছি। তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্য তালিকা টাঙ্গানো সম্ভব নয়। তেলের বোতলে যে দাম আছে, তার চেয়ে বেশি দামে পাইকারি নিতে হচ্ছে এবং অন্য দ্রব্যের ক্ষেত্রেও তাই। বর্তমানে বাজারে তেল নেই বললেই চলে। মুদির দোকানদার লুৎফর রহমান বলেন, ঈদের পরে গম, তেলসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়তে পারে।
তেলের দাম বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
