ইয়ামিন ভূঁইয়া,ঢাকা
যাত্রীতে ছেয়ে গেছে পুরো ট্রেন।শুধু তাই নয়,ছাঁদেও কানায় কানায় যাত্রীতে ভরা।এই যাত্রা ঘরে ফেরার।জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ছুটে চলা।ঈদের আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়াই লক্ষ্য। কমলাপুরের এই দীর্ঘ লাইনে শিশু,বৃদ্ধ কিংবা নারী, কারোই হচ্ছে না গন্তব্য স্থানে পারি।কমলাপুর রেল স্টেশনে প্লাটফর্মে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীদের এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটিই উদ্দেশ্য,কাঙ্খিত ট্রেনের। আর কয়েক ঘন্টা পরই সেই কাঙ্খিত ট্রেনের দেখা পাওয়ার পরই শুরু হয়,দৌড়াদৌড়ি হুড়োহুড়ি আর পারাপারি। দরজা-জানালা দিয়ে যে যেভাবে পারছেন,উঠে পড়ছেন ট্রেনে।নিজ গন্তব্যে পৌঁছোতে অনেকের ঠিকানা হয় ট্রেনের ছাদে।ঈদে স্বস্তির রেল ভ্রমণে আছে অনেক ভোগান্তিও। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন গুলোর হচ্ছে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয়।সময়মতো ছাড়ছে সিলেট ও চট্টগ্রামের ট্রেন গুলো। যাত্রীবাহী ট্রেন গুলো কমলাপুর ঠিকঠাক ছাড়লেও,বিমানবন্দরে পৌছানোর সঙ্গেই শুরু হয় আরো এক ট্রেনে উঠার যুদ্ধ। এরই মধ্যে ট্রেনের ছাদে উঠার সময় আহত হয়েছেন ১জন। আজ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেনেই দেখা গিয়েছে সিডিউল বিপর্যয।একতা এক্সপ্রেস সোয়া ১১টায় ছাড়া কথা থাকলেও ছেড়ে ২ ঘন্টা দেরিতে। আজ ছুটিরদিন থাকার ভিড় বেড়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।শেষদিনে আগামীকালও হবে প্রচুর ভিড়।গড়ে প্রতিদিন ২৭ হাজারের বেশি মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশন হয়ে ছাড়ছেন ব্যস্ততম শহর ঢাকা।
