ইয়ামিন ভূঁইয়া,ঢাকা ক্রীড়া প্রতিবেদক
এই কোহলিকে দেখুন।খেপাটে,রগচটা গুণ উল্লাসে মেতে ওঠা কোন যোদ্ধা।যে শুধু জিততেই জানে।আর এই কোহলি ক্লান্ত।যুদ্ধে ক্ষান্ত দেওয়া কোন পরাজিত সেনা।নিজেকে খুঁজে ফেরা এক জাজাবর।হঠাৎ বড্ড একা হয়ে যাওয়া কোন অচেনা পথিক।দীর্ঘ খাড়া কাটিয়েও প্রকৃতিতে নামে বৃষ্টি। শুকিয়ে যাওয়া কোন নদীতে আবার উঠে ঢেউ।কিন্তু বিরাট কোহলির কপালের ভাজ যেন কিছুতেই দূর হচ্ছে না। এক এক করে তিনটি বছর ধরে যে নেই টিম কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি।ব্যাটে রান নেই,সবমিলিয়ে যেন যা-তা এক অবস্থা।এই কিং কোহলি নামে তাকে ডাকাটাও বেমানান পর্যায়ে পৌঁছেছে। এজবাস্টন টেস্টে রুট আর ব্রায়েস্টোর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিতে হয়েছে সামনে দাঁড়িয়ে।ক্রিকেট দুনিয়ায় এক পাশে ইংলিশদের রেগুলেশনারি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে চর্চা হয়েছে তো।কোহলি ক্ষেপাটে নামা নিয়েও কম গপ্পো হয়নি।রাতটা নির্ঘাত,নির্ঘুমই কেটেছে চিকু।সকাল হতেই কে জানতো?আবার চর্চা তাকে নিয়েই।এবার যেয়ে এই শ্রেণি থেকেই কাটা পড়েছে তার নাম। আইসিসির সবশেষে টেস্ট প্লেয়ারের দশেও যায়গা হয়নি কোহলির।নেমে গেছেন ১৩ নম্বরে।ঠিক কতদিন পরে কোহলি শীর্ষ দশের বাহিরে ছিটকে পড়লেন?তা একটা গবেষণারই বিষয়।তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে ২ হাজার ৫০৩ দিন।অর্থাৎ ৬ বছরেরো বেশি সময় পর। এখন যেন বিরাট কোহলি টিম ইন্ডিয়ার বিরাট বোঝো।তাকে ছাড়াই ইন্ডিয়ার পরবর্তী দিনগুলো ভাবতে হচ্ছে।এ মাসেই উইন্ডিজ সফরে কোহলিকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা হয়েছে।নিজেকে খুঁজে পেতে আরো একটু বিশ্রামের সময় পেলেন বিরাট কোহলি।এবার হাতের বোতা,মুখ তুলে তাকালেই হয়।
