মুহাম্মদ হাদিসুর রহমান (জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি )
সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে তরুণ ছাত্ররা ।
সমাজ মানেই একে অপরের সহযোগিতা, সহমর্মিতা আর ভালোবাসার বন্ধন। কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক সময় দেখা যায় সমাজের এক বৃহৎ অংশ অবহেলিত, গরিব, দুঃখী ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের দিন কাটে অন্নহীন, চিকিৎসাহীন আর অভাবের চাপে দমবন্ধ হয়ে। এইসব মানুষের কষ্ট লাঘব করতে যখন সবাই ব্যস্ত নিজের স্বার্থে, তখন কিছু তরুণ ছাত্র সমাজের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দাঁড়ায় তাদের পাশে।
শিক্ষার পাশাপাশি এ তরুণরা বুঝতে শিখেছে যে, শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জন করাই জীবন নয়, বরং মানবিক দায়িত্ব পালন করাই প্রকৃত শিক্ষার সার্থকতা। তাই তারা এগিয়ে এসেছে সমাজের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। কেউ নিজের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে অসহায়দের খাবার কিনে দিচ্ছে, কেউ শীতার্ত মানুষের জন্য জামা-কম্বল সংগ্রহ করছে, আবার কেউ অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তহবিল গড়ে তুলছে।
এই ছাত্ররা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, কোনো ব্যক্তিগত লাভের আশায় নয়, বরং খাঁটি মানবিকতা থেকে এগিয়ে এসেছে। সমাজের অবহেলিত শ্রেণির মানুষদের পাশে দাঁড়ানোকে তারা দায়িত্ব হিসেবে দেখছে। তাদের চোখে স্বপ্ন—একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে ক্ষুধার কারণে কেউ কাঁদবে না, অভাবে কেউ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না।
তরুণদের এই উদ্যোগ আমাদের জন্য গর্বের, আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। তারা প্রমাণ করেছে—শুধু সরকার বা ধনী সমাজপতিরাই নয়, সচেতন ছাত্ররাই চাইলে সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হতে পারে। তাদের মানবিক প্রয়াসে অবহেলিত মানুষগুলো নতুন করে বাঁচার আশা পায়, আবার সমাজও পায় এক নতুন দিশা।
সবশেষে বলা যায়, ছাত্রসমাজ যদি এইভাবেই অসহায় মানুষের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তবে একদিন এই পৃথিবী থেকে অবহেলা, বৈষম্য আর অমানবিকতার অন্ধকার দূর হবে। আর সেই দিনই সত্যিকার অর্থে মানবতার জয় হবে। কারো সহযোগীতা ছাড়ায় সদস্যরা নিজ উদ্যোগে প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে আয়োজন করে থাকে।
এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ সাদ আলম চৌধুরী, সভাপতি, বাংলাদেশ সামাজিক সেবা ফাউন্ডেশন, জয়পুরহাট
ও এম,ডি সিহাব, মুহাম্মদ হাদিসুর রহমান, মোঃ সিফাত আলী, মোঃ নাজমুল হাসান কার্যনির্বাহী সদস্য। তাদের প্রচেষ্টায় সংগঠন সুন্দর, সুসজ্জিত কোলাহল মুক্ত একটি সংগঠন।
