মোঃ নাজমুল হক
স্টাফ রিপোর্টার( নওগাঁ) :
নওগার নিয়ামতপুর উপজেলার ২নং চন্দননগর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর এলাকায় মাছকে খাদ্য খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন আহত হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, পদ্মপুকুর এলাকার আদিবাসী শামীম পাহানের ছেলে শাহীন পাহান সকাল থেকে পুকুরপাড়ে মাছের খাদ্য রাখা ঘরের দরজার সামনে বসে মোবাইলে গেম খেলে। সকাল ৯ টার দিকে নজরুল ইসলাম মাছকে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য মাছের খাদ্য বের করতে গেলে শাহীনকে দরজা থেকে সরে যেতে বলে। দরজা থেকে শাহীন সরে না যাওয়ায় তাকে মারধর করে। ঐ সময়ে নজরুলের ছোট ভাই পাইলট কোদাল নিয়ে জমি দেখতে আসলে সেও কোদালের বাঁশ দিয়ে মাথার পিছনে দুইটি মার দেয়। এতে শাহীন অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মহাদেবপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী মহিলা-পুরুষরা মিলে চন্দননগর (চানপাড়া) গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ও পাইলটকে মারধর করে গাছে বেঁধে আটকে রাখে। এতে তারা অসুস্থ হলে পাইলটকে ছেড়ে দেয়।
ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এসে নজরুল ইসলামকে গাছে বাঁধা অবস্থায় পায়। পুলিশ নজরুল ইসলাম ও পাইলটকে থানাতে নিয়ে যেতে চাইলে আদিবাসীরা বাঁধা দেয়।
নজরুল ও পাইলট ২জনই অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বপন পাহান নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিবেদক কে জানাই, শাহীন পাহান চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন এবং সুস্থ আছেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, নজরুল ইসলাম ও পাইলট দুজনই নিয়ামতপুর উপজেলা নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে, তেমন গুরুতর না হলেও একজনের হার্টের প্রবলেমের কারণে সমস্যা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি, করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
